মনির খান স্টাফ রিপোর্টার:লোহাগড়ায় দলিল লেখক সমিতির নামে চাঁদাবাজি দীর্ঘ বৎসর যাবত চলে আসছে, দেখার মত কেউ নাই। উক্ত দলিল লেখক সমিতি সাধারণ দাতা গ্রহীতাদের চোখে আংগুল ঢুকিয়ে দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। যদি কেউ ধানী জমি ক্রয় করে তাহলে দেখা যায় যতটুকু জমি, অতটুকু জমির মূল্যের সমান টাকা সমিতিতে জমা করা বাধ্যতামূল ।
দলিল রেজিস্ট্রি করার আগে সমিতির টাকা জমা না করলে দলিল রেজিস্ট্রি হবে না।

লক্ষীপাশা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক সমিতির দলিল লেখকদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জাল দলিল, পর্চা ও ভুয়া সিল রাখার অপরাধে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দলিল লেখক সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলামসহ (৬৫) সহ ৩ জন কে কারাদন্ড দিয়েছে রহমান আদালত ।

২৪ এপ্রিল ২০২২ তারিখ দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আব্দুল্লাহ বিন শফিকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ সাজা দেন। রেজাউলের বাড়ি লোহাগড়ার ঈশানগাতি গ্রামে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলামকে সাতদিনের বিনাশ্রমে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া দলিল লেখক গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত জয়নাল মুন্সির ছেলে জাকির মুন্সি(৪২)কে তিন মাস এবং রামপুর গ্রামের মিরাজ হোসেন (৫২) কে সাতদিনের বিনাশ্রমে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

ভুক্তভোগীরা জানান, সাজাপ্রাপ্তরা দীর্ঘদিন ধরে জাল দলিল, পর্চা ও ভুয়া সিল ব্যবহার করে আসছে। এছাড়াও অনেক দলিল লেখকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। এদের বিরুদ্ধেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা প্রয়োজন বলে জানান ভুক্তভোগীগন। আরো জানা যায় জালিয়াতি দুর্নীতি করে অনেকে বহুতল ভবনের মালিক ও হয়েছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাধারণ ভুক্তভোগীদের দাবি, দলিল লেখক সমিতির নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করে সাধারণ গ্রহীতাদের দলিল লেখক সমিতির রাঘববোয়ালদের হাত থেকে রক্ষা করার জোর দাবি জানান।